কারাগার আর ঢাকা মেট্রো দেখলাম। মোটামুটি টেলিভিশনে মঞ্চ নাটক আর কি। তবে বাংলাদেশের সব বড় নির্মাতাদের স্বপ্নের প্রজেক্ট কখনোই মঞ্চ অতিক্রম করে না।
তাছাড়া ভালো অভিনেতা খোঁজার তাগিদে তারা মঞ্চ থেকে যাদের ধইরা আনেন তাদের অধিকাংশই অভিনয়ের ক্ষেত্রে মঞ্চের বোঝা বহন করেন মাত্র। তাদের অভিনয়ের ভিতর অভিনয় চলতে থাকে ইনসেপশনের মত, একটু হাস্যকর আর কি।
মানে চরিত্রটা না কইরা চরিত্রে অভিনয় করতে থাকেন আর কি। এইটা মঞ্চের সমস্যা কি-না জানি না, তবে এইটা বাংলাদেশের মঞ্চের সমস্যা বৈকি।
ওই দিক থেকে যারা মঞ্চ ছাড়া আসছেন তারা অভিনয় কম পারলেও স্ক্রীন প্রেজেন্সে আগায় থাকেন। এই ধরনের স্বপ্নের প্রজেক্টের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে তাগো প্রথম পছন্দ হইলো মার্ক্সিস্ট আলাপ।
বাংলার অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী যেমন আটকে পড়া বাম, ঠিক তেমনি এই পরিচালক এবং নির্মাতাদের সমাজের ইউটোপিয়ান বোঝাবুঝির দৌড় হইলো সমাজতন্ত্র ধর্মের আলাপ।
তাছাড়া তাগো দুর্বল ডায়ালগ, নির্মাণ কৌশল দিয়া গ্লোবালাইজেসন, আমেরিকা , পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে এক ধরনের গেরিলা যুদ্ধের ভঙ্গিমা তারা করেন।
ধরেন, এখনকার পুঁজিবাদ যে বাজার অর্থনীতিকে মূলত বাজার অর্থনীতির মত কইরা এক্ট করতে দেয় না সেই সুক্ষ্ম জায়গাগুলা দেখতে পান না। বাজার অর্থনীতির নিজের সারভাইভালের জন্য এক ধরনের ফ্রিডম ম্যাক্সিমেলিজম মুভমেন্ট ঘটতেছে ক্যাপিটালজমের ভেতর থেকে সেটা তারা দেখতে পান না।
আর একটা বিষয় খেয়াল করলাম অটিটির পুরা সুবিধা তারা কাজে লাগাইতে পারে নাই এখনো, শুধুমাত্র গালির সংযোজন ছাড়া। বাংলাদেশ যে রাজনৈতিক এবং একাডেমিক হেজমোনির মধ্যে বাস করে তাতে আমি নিকট ভবিষ্যতে খুব আশা দেখি না।