১.
পাথরের ক্ষয়িত মিথুন মূর্তিটি মৃত পাতাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।
পাশে শুয়ে আছে একটা ধূসর রঙের মেম-কুকুর।
তুমি এখানে কেন এসেছ — কুবো পাখিদের কেউ হও?
আজ যত পাতা অন্তিম আশ্রয়ের দিকে ঝরে পড়ে তারা কি
শনাক্ত করতে সক্ষম যেসব প্রশ্নে অর্থ-বিচ্ছুরণ ঘটে?
জানি তুমি সময়-ক্যাপসুলের মধ্যে উঠে পড়তে চেয়েছ,
মৃত্যুমনষ্ক হতে চেয়ে খাপ থেকে নিষ্কাষিত করেছ গভীর তরবারি।
মৃত্যু নয়, বার বার ডুমুর বাগান
আর এক খণ্ড কবিতা জেগে ওঠে।
২ .
ব্যাখ্যা কিছু পাওয়া গেল বটে, সেইসব আবার ব্যাখ্যাতীত রূপকথা।
পথে পাওয়া গেল কেয়াগাছ, বুবি ট্র্যাপ, অন্তিম প্রশ্নমালা,
বালুচরে জ্যোৎস্নালোকে মেছো-কুমিরের ডিম যেন আশ্চর্য সংকেত,
আরো কিছুদূর গেলে ছোপ ছোপ রক্ত,
এখানে পশুবলি হয়,
একটি ব্যঙ্গমা বলে মাঝে মাঝে নরবলিও হয়,
ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা চলে যায় তবু স্ফটিক জলের ধারা,
এখানে তবু ব্যুহ রচনার অবসর।
এই পত্র মর্মরে, চিত্রিত ফণাওয়ালা সাপ অস্তিত্ব হারায়।
তুমি শতচক্ষু তবু আদিম দৃশ্য গ্রহণে কেন এত অপারগ!
আমরা মৃত্যুকে রাঙিয়ে দেই আমরা কেউ কেউ অয়দিপাউস
আমাদের শবযাত্রায় শুধু কয়েকটি বদ্রীপাখি আর রাজহাঁস,
দূরে কোথাও বসন্ত জাগ্রত দ্বারে গেয়ে ওঠে রুমানা জান্নাত
একটি বিষণ্ণ উট তখনো বয়ে নেয় তার কুজে ঐ আধপোড়া চাঁদ—