প্রমত্তা
~
আমাদের বাসকে সাইড দিচ্ছে না যে বাস
ওরে আপাতত ভালো নজরে দেখতেছি
আছে সুনজর ওর প্রতি, দেখতেছি কতক্ষণ তোমারে ধরে
থাকা যায়
স্কোয়াশের গন্ধের মতো বিড়বিড় কোলাহল
একটা কথার সাথে আরেকটা কথার কোলাজ
ভেঙে দেয়
কোলাজ ভেঙে গেলে কি আর কথা বলা হয়—
কথা বলা না গেলে দীর্ঘ দিন আরো দিন হতে
থাকে
বিস্তীর্ণ রাস্তা
কতশত বাড়ি
বিড়বিড় কোলাহলে জ্যাম পড়ে থাকে—
অতটুকুই যেন পাই কাছে
তোমাকে
ধীর গোসলের পর
লম্বা বারান্দায়—
তোমার সামনে বসে
বাইরে রাস্তায় জ্যাম পড়ে থাকলে
পড়ে আছে উপেক্ষিত রেখে
যে সন্ধ্যা নামবে এসে
আলেয়ার নীচে
ঘাসের ওপরে
নৃত্যরত থেকে আবছা অট্টখুশে
মানুষের তরে মায়া আলগোছে ঢেলে
বুকপিঞ্জর খালিখালি ক’রে
কী তরিকায় আমার সমস্ত কথা
শুরু করব
— কে জানে!
রেজকি
~~
বন্দরের ঘন অন্ধকার, দূরের বাড়ি জুড়ে আলোর লণ্ঠন কত একলা করে দিয়ে একারাই মিইশা আছে
দেখে ধূসর প্রদীপের সামনে থাকা দেহে-দেহে অবসাদ আসে
উত্তরের রাত দেখায়েছিলে;
ঘুমায়ে আসা শীতের হাওয়ারে তোমার বুকে রেখে কবে হাওয়ারা ক'য়েছিল— জনবিরল পথের কথা।
আমি জানতাম, জনবিরল মানেই সুন্দর। জনবিরল মানে আমরা ছাড়া কারও কোনো কথা নাই।
কোনো কথা কি সেদিন বলেছি আর?
সেদিনের তুমি— দূরে— মনে হয় দূরতম নদীর ওপারে দাঁড়ায়ে
দেখা হয়— গনগনে উনানের উপরে ছায়ামূর্তির মত দেখি
আজ আর তেমন নাই,
সেদিনেরে গ্রাস করে জনবহুল পথে কে যেন ফিরায়ে দিয়ে গেছে আমাদের
এই পৃথিবীর এই কোলাহল—
এই ক্লান্তিকর যাত্রাতে আমাদের তবু কথা থাকে বাকি
এত ভিড়, এত মানুষ—
তোমার মলিন হাতে হাত চেপে রাখি অসাড়ে—
হাতের বৃত্তান্তে এই শিরাল প্রেম যদি পৌঁছানো যায়, যাবে।
অধিকন্তু সমাপন
~~~
এখন, এই মুহূর্তে আমাদের কোনো নামধাম নাই
একলাই পাশ কেটে ব্যাদানকৃত নিজেদের ছেড়ে শাঁই-শাঁই ছুটে যাই, টের পাও?
আরো একবার তোমার-আমার সংসার গড়াচ্ছে নদীতে
আমিও হুট করে কেঁদে ফেলে বলি,
যা কিছু আমার, ফিরায়ে দাও
আমার ভাগ রেখে তোমার যা কিছু
তা তবু নিয়ে নিতে চাইলেও আর দিচ্ছি কই—
একালের দোনোমনায় তোমার হাত ছেড়ে
দিয়ে সকল দিনেই দুঃখী গুল্ম হয়ে
মুখ ফিরানো অপর শাখায় নতমুখী হয়ে আমি—
তোমার ভাষ্যমতে নিজেকে মেরে ফেলে
তীব্র করে তোলার বাসনায় জড়ায়ে রই।