যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ নিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই আলোচনা হয়।বৈঠকে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার পায়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো পরিকল্পনা প্রতিরোধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়।
যদিও বৈঠকের স্থান উল্লেখ করা হয়নি,তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে—এই বৈঠকটি তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ইব্রাহিম কালিন বলেন,
"গাজার জনগণের প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আঙ্কারা দৃঢ় অবস্থান নেবে।"
এদিকে ইসরাইল সম্প্রতি গাজার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে বাফার জোন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর আওতায় রাফাহ শহরের একটি বড় অংশ অন্তর্ভুক্ত করে সীমান্ত বরাবর নতুনভাবে অঞ্চল দখলের চেষ্টা চলছে।
যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইল আবারও গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং এর অংশ হিসেবে উপত্যকাটিকে কঠোরভাবে অবরুদ্ধ করেছে। সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে ইসরাইল এ অবস্থাকে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
হামাস-পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১,৬৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক তুরস্কের মধ্যপ্রাচ্যনীতি ও কূটনৈতিক তৎপরতায় সক্রিয় ভূমিকারই প্রতিফলন। একাধিক আন্তর্জাতিক পক্ষ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।