বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
১৯ ভাদ্র ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : বিশ্ব

ইউক্রেনে রাতভর রাশিয়ার হামলা, নিহত ১৪


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ২৮ আগস্ট ২০২৫, বিকাল ৪:০৮
ইউক্রেনে রাতভর রাশিয়ার হামলা, নিহত ১৪
ছবি:সংগৃহীত

ইউক্রেনে আবারও গভীর রাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার কিয়েভে রাতভর রুশ হামলায় এক শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর দাবি, হামলায় ৫৯৮টি ড্রোন ও ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এরমধ্যে তারা ৫৬৩টি ড্রোন ও ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম হয়। কিয়েভের অন্তত ১৩টি স্থানে আঘাত ও ২৬টি স্থানে ভবন ধ্বসের তথ্য রয়েছে বিমান বাহিনীর কাছে।

হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার জবাব বিশ্ববাসীর সামনে দেখিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তারা আলোচনার টেবিলের বদলে ব্যালিস্টিক বেছে নিয়েছে। যুদ্ধের অবসানের বদলে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়া পথ গ্রহণ করেছে।

কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তত সাতটি জেলার আবাসিক ভবন হামলার শিকার হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ জন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। জরুরি পরিষেবা কর্মীরা বিধ্বস্ত ভবন থেকে জীবিতদের উদ্ধার ও আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

হামলার সময় রাজধানীতে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়, যা নয় ঘণ্টার বেশি বিরাজ করে। কিয়েভের রাতের আকাশ রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের ঝলকানি ও ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে কিয়েভে সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর টিকাশেঙ্কো বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, রাশিয়া তাদের প্রথাগত হামলার পদ্ধতিই ধরে রেখেছে। সেটা হচ্ছে, সাধারণ আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে বিভিন্ন দিক থেকে সংঘবদ্ধ হামলা।

অবশ্য, বেসামরিক মানুষ ও স্থাপনায় ইচ্ছাকৃত হামলার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে রাশিয়া। পৃথক বিবৃতিতে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করে, রাশিয়ার অন্তত সাতটি অঞ্চল লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে হামলা প্রতিহত করে অন্তত ১০২টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে তারা।

ইউক্রেনীয় ড্রোনবাহিনীর তরফ থেকে ওই হামলার কথা অস্বীকার না করে জানানো হয়, রাশিয়ার আফিপস্কি ও কিউবিশেভস্কির তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে তারা।