নির্বাচন কমিশনের নতুন সংযুক্ত প্রতীক ‘শাপলা কলি’ নিতে সম্মত হয়েছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রবিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই কথা জানিয়েছেন।
এনসিপি নেতা পাটওয়ারী বলেন, জনতার মধ্যে ইতিমধ্যেই শাপলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আবার শাপলার সাথে কলিও যোগ হচ্ছে। আমরা এটা পজিটিভলি নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে বলেছি দ্রুতগতিতে এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ ধানের শীষ এবং শাপলা কলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশ বাকশাল কায়েম করে ৭২ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে বের করা হয়েছিল, একটি দল এখন আবার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলকে নিজেদের প্রতীক বিক্রি করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছিল সে উদ্যোগের বিপরীতি গিয়ে বিভিন্ন সমঝোতা, বোঝাপড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা ইসিকে বলেছিল, কোনো দলের প্রতীক কোনো নমিশন বাণিজ্যের প্রতীক হতে পারে না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলছি শাপলার কথা। কিন্তু আমরা এখনো ব্যাখ্যা পাইনি নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের। কিন্তু এখন কি তাহলে আমরা প্রতীক নিয়ে পড়ে থাকব। আমরা ইলেকশন ফেজে ঢুকব না? তো সেই জায়গা থেকে আমরা বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে এই ডিসিশনটা নিয়েছি। কিন্তু ইলেকশন কমিশনের যে স্বেচ্ছাচারী আচরণ এটা পুরো বাংলাদেশের সামনে স্পষ্ট হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ শাপলা কলি নিচ্ছি।
এর আগে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করতে নির্বাচন ভবনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক খালে খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।