সোমবার, অক্টোবর ২০, ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : রাজনীতি

আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে:সালাহউদ্দিন আহমেদ


খায়রুন নাহার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকাল ৫:২৭
আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে:সালাহউদ্দিন আহমেদ
ছবি:সংগৃহীত

বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩য় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোোর সাথে বৈঠক শুরু করেন ঐকমত্য কমিশন।বিকেল ৫ ট পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পূর্বের আলোচনার ধারাবাহিকতায় আজকের আলোচনা হয়েছে।ঐকমত্য কমিশন থেকে লিগ্যাল এক্সপার্ট প্যানেলের অভিমত লিখিত একটি পেপারস উত্থাপন করা হয়েছে।এবং আমরা কিছু বিকল্প পদ্ধতিও বলেছি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকের বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অভিমত উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন সরকার সাংবিধানিক কি না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান মেনে এই সরকার গঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সনদের যেসব বিষয় সংবিধান-সম্পর্কিত, তা বাস্তবায়নের আগে বিচার বিভাগের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। সাংবিধানিক আদেশ আজ বা কাল চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কিন্তু জাতির সামনে খারাপ উদাহরণ তৈরি করা ঠিক হবে না।

সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবাই মতামত দিলে বিবেচনা করা যায়। তবে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা সনদে স্বাক্ষর করেই জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন। এমন কিছু মৌলিক সংস্কারমূলক বিষয় আছে, যা বাস্তবায়নে সংসদীয় গণভোটেরও প্রয়োজন হতে পারে। তাহলে একই বিষয়ে দুবার গণভোটের প্রয়োজন কেন? এসব বিষয় আলোচনার টেবিলেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।’

তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে এবং সংসদ গঠনের পর মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় গণভোট আয়োজনের বিষয়টিও তখন বিবেচনায় আনা যেতে পারে।

পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কারও রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার আছে এমন দলের যে কোনো বিষয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে বক্তব্য জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারে আন্দোলনেরে কর্মসূচী দিতে পারে।সেটার বিপক্ষে আমরাও আমাদের বক্তব্য তুলে ধরে রাজপথে বক্তব্য দিতে পারি।

রাজপথে কে কয়টা বক্তব্য দিল মিছিল দিল তার উপর ভিত্তি করে পিআর নির্ধারিত হবে না।এন্ড অফ দ্যা ডে জনগণ নির্ধারণ করবে কোন পদ্ধতিতে র্নিবাচন হবে।এটি আলোচনা করে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা।’

পিআররের মাধ্যমে সবসময় একটা অনিশ্চিত সরকার ব্যবস্থা থাকে ও ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে এবং কখনো মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন করার মত মেজরিটি পাওয়া যায় না। 


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পর আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম বৈঠক।এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চলবে এ বৈঠক।

এর আগে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছিল কমিশন।তবে একমত না হওয়ায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টি দলের সাথে আবারও আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে কমিশন।