বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩য় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোোর সাথে বৈঠক শুরু করেন ঐকমত্য কমিশন।বিকেল ৫ ট পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পূর্বের আলোচনার ধারাবাহিকতায় আজকের আলোচনা হয়েছে।ঐকমত্য কমিশন থেকে লিগ্যাল এক্সপার্ট প্যানেলের অভিমত লিখিত একটি পেপারস উত্থাপন করা হয়েছে।এবং আমরা কিছু বিকল্প পদ্ধতিও বলেছি।
পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কারও রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার আছে এমন দলের যে কোনো বিষয়ে তাদের চাহিদা অনুসারে বক্তব্য জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারে আন্দোলনেরে কর্মসূচী দিতে পারে।সেটার বিপক্ষে আমরাও আমাদের বক্তব্য তুলে ধরে রাজপথে বক্তব্য দিতে পারি।
রাজপথে কে কয়টা বক্তব্য দিল মিছিল দিল তার উপর ভিত্তি করে পিআর নির্ধারিত হবে না।এন্ড অফ দ্যা ডে জনগণ নির্ধারণ করবে কোন পদ্ধতিতে র্নিবাচন হবে।এটি আলোচনা করে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা।’
পিআররের মাধ্যমে সবসময় একটা অনিশ্চিত সরকার ব্যবস্থা থাকে ও ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে এবং কখনো মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন করার মত মেজরিটি পাওয়া যায় না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পর আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম বৈঠক।এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চলবে এ বৈঠক।
এর আগে সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছিল কমিশন।তবে একমত না হওয়ায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টি দলের সাথে আবারও আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে কমিশন।