প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ৭টি রাজনৈতিক দল ও হেফাজত ইসলামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৫ টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি, নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে দলগুলোর প্রতিনিধিরা এক ব্রিফিংয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।বৈঠকে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনগুলো হচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, ''৫৩ বছর ধরে চলে আসা ধারায় নির্বাচন করে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ঐকমত্য কমিশনে ২৬টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে। পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নে গণভোটের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এই সরকার সক্ষম হবে এমন আস্থা এখনও আসেনি।''
বৈঠকের পর গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, কোনও ভয়, চাপ প্রতিকূল পরিস্থিতি ছাড়াই নির্বাচন আয়োজনে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা ও পুনর্গঠন যথার্থ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। নুরুল হক নুরের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ নোট অব ডিসেন্টের ফয়সালা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সরকারের কাজে দৃঢ়তা ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কর্তৃত্বের ঘাটতিও আছে। এটি কাটানো না গেলে ভোট নিয়ে সংশয় কাটবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে অভিজ্ঞদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছি।