সোমবার, অক্টোবর ২০, ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : সাক্ষাৎকার

ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে চলছে পূজার কেনাকাটার ধুম


সাক্ষাৎকার ডেস্ক ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ১১:৪৪
ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে চলছে পূজার কেনাকাটার ধুম
রেইনা পেইজ থেকে ছবি: সংগৃহীত

উৎসবের মৌসুমে অনলাইন কেনাকাটার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যানজট, ভিড় এবং সময়ের সংকট এড়িয়ে ঘরে বসেই পছন্দের জিনিস কেনার সুবিধা গ্রাহকদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে এখন চলছে উৎসবের কেনাকাটার ধুম। বড় অনলাইন শপগুলোর পাশাপাশি ছোট উদ্যোক্তারাও নতুন নতুন পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন ক্রেতাদের সামনে। এতে পূজার বাজার অনলাইনে হয়ে উঠছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সরব ও গতিশীল।

অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয়তার পেছনে কারণগুলো:

  • সুবিধা: ঘরে বসেই কেনাকাটার সুযোগ, বাজারের ভিড় এড়ানো।

  • পণ্যের বৈচিত্র্য:ড় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ছোট উদ্যোক্তাদের বৈচিত্র্যময় পণ্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে।

  • উৎসবের আমেজ: দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বিশেষ অফার, নতুন কালেকশন এবং উৎসবের সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।

  • সময় সাশ্রয়: ব্যস্ত মানুষের জন্য অনলাইন শপিং সময় বাঁচানোর অন্যতম উপায় হয়ে উঠেছে।

ফলে পূজার সময়ে অনলাইন শপিং শুধু জনপ্রিয়তাই পাচ্ছে না, উৎসবের বাজারকেও করে তুলছে আগের চেয়ে আরও গতিশীল ও প্রাণবন্ত।

এবছর পূজায় অনলাইনে গ্রাহকদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাওয়া গেল তা নিয়ে ভূমিপুত্র-র সাথে কথা বলেন ''রেইনা'' পেইজের স্বত্বাধিকারী অরুনা।


ভূমিপুত্র: পূজায় রেইনা-তে ক্রেতাদের সাড়া কেমন ছিল?

অরুনা: পূজার আগেই নারীরা বেশিরভাগ শাড়ি প্রি-অর্ডার দিয়ে থাকেন।সেক্ষেত্রে ক্রেতার রুচি অনুযায়ী থিম মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়। যেমন- শরৎের পেঁজা তুলোর মতো মেঘলা আকাশ,কাশফুল,শিউলী ফুল,প্রতিমার মুখ ইত্যাদি। রঙতুলি বা সুঁই-সুতোয় যেভাবে পোশাকে পূজাকে ফুটিয়ে তোলা যায় সেভাবে চেষ্টা করা হয়। পোশাকের সাথে মিলিয়ে গয়নার অর্ডার ও থাকে। পূজোতে শাড়ি আর গয়নাই বেশি সেল হয়। আমার পেইজে এ বছর কয়েকটি শাড়ি ও প্রায় ২০ জোড়ার মতন হ্যান্ড মেইড চুড়ি সেল হয়েছে।

হাল ফ্যাশনের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।এবারের পূজোয় জাঁকজমক গয়নার পাশাপাশি প্রতিদিন ব্যবহার্য সাদাসিধে গয়নাতেও ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। যারা হালকা সাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাঁদের কথাও ভাবা হয়। ডিজাইন গুলো সেভাবেই করি। আমার বেশির ভাগ ক্রেতারা অফিস গোয়িং নারী কিংবা শিক্ষার্থীরা।


ভূমিপুত্র: রেইনার সিগনেচার আইটেম কী ? 

অরুনা: রেইনা-র সিগনেচার কাজ হলো কাপড়ে সুঁই-সুতোয় নকশা তৈরি করা । প্রতিটি ফোঁড় যেন আমার সঙ্গে কথা বলে, সুঁই সুতোর কাজটা আমি আবেগ দিয়েই করি।তবে কেবল কাপড়েই নয় হাল ফ্যাশনকে মাথায় রেখে বিভিন্ন অলংকারেও নিজের মতো অথবা ক্রেতার রুচি অনুযায়ী ডিজাইন করে থাকি।সু্ঁই-সুতার পাশাপাশি কড়ি,ঝিনুক,বিডস,মুক্তা,ও নানা প্রকৃতির ধাতব উপকরণ দিয়ে তৈরি করি গলার মালা,আংটি,কানের দুল ,ব্রেসলেট,চুড়ি ইত্যাদি।


ভূমিপুত্র: রেইনার যাত্রা শুরু হলো কীভাবে?

অরুনা: করোনা মহামারীর সময়টাতে ঘরে বসে ছবি আঁকতাম এছাড়া টুকটাক সেলাই কাজ করতাম।মায়ের কাছ থেকে সেলাই কাজ সহ হাতের কিছু কাজ দেখে দেখেই শিখেছিলাম এর মধ্যে ভালো লাগার আরকেটি হচ্ছে কূশিকাটার কাজ।অবসরে গৃহস্থালী সাজসজ্জার পাশাপাশি জামা,শাড়ি,পাঞ্জাবী,গয়না অনেক কিছুই তৈরি করতাম।এরপর হাতের তৈরি নকশার কাজ নিয়ে শুরু করলাম ‘রেইনা’। রেইনা-শব্দের অর্থ ‘রাণী’। যেহেতু আমার পেইজের বেশির ভাগ কাজ নারীদের ফ্যাশনকে মাথায় রেখে তাই নামটা এমন ভাবনা থেকে রাখা।


ভূমিপুত্র: ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে রেইনার ভবিষ্যৎ কীভাবে ভাবেন ?

অরুনা: মানু্ষ তো আমরা তাই আমাদের চিন্তার জগৎে ভবিষ্যৎ নিয়ে নানান পরিকল্পনা থাকে কতটা সফল হতে পারবো তা অনুমান করা কঠিন।তবে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।

সেই অর্থে ‘রেইনা’কে নিয়ে আমার স্বপ্ন, শুধুই নিজের শখের বশে বা রোজগারের উদ্দেশ্যে ব্যবসা করা নয় বরং আমার দ্বারা যেন কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। রেইনা-কে সুপরিচিত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আশা রাখি।

 

ভূমিপুত্র: রেইনা-র জন্য শুভকামনা রইলো,সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

অরুনা: আপনাকেও ধন্যবাদ।