চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলায় শিরোপা ধরে রেখেছেন কুমিল্লার শরীফ। শুক্রবার বলী খেলার ১১৬তম আসরে অংশ নিয়ে এবারও একই জেলার রাশেদকে হারিয়ে বাজিমাত করেছেন শরীফ। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাসিন্দা শরীফ স্থানীয়দের কাছে ‘বাঘা শরীফ’ নামে পরিচিত
খেলার ৩০ মিনিটের বেশি সময় পর প্রধান রেফারি হাফিজুর রহমান ‘টেকনিক্যাল আউট’ ঘোষণা করেন
রাশেদকে।
গতবছর জব্বারের বলী খেলায় প্রথমবার অংশ নিয়েই তিনি বাজিমাত করেন। রানার্সআপও হন রাশেদ।
এ বছর প্রথম রাউন্ডে
৮০ জন অংশ নিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে প্রথম রাউন্ডের চারজন ও আগের বছরের
শীর্ষ চারজন নিয়ে হয় চ্যালেঞ্জ
রাউন্ড।
চ্যালেঞ্জ
রাউন্ডে চট্টগ্রামের কাঞ্চনকে হারিয়ে কুমিল্লার কামাল, নিজ জেলা কুমিল্লার
দিপুকে হারিয়ে শরীফ, সীতাকুণ্ডের রাসেলকে হারিয়ে ১১৪তম আসরের সেরা কুমিল্লার শাহজালাল
ও রাঙামাটির রুবেলকে হারিয়ে কুমিল্লার রাশেদ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন।
সেমিফাইনালে
শরীফ নিজ জেলার কামালকে
হারিয়ে ও রাশেদ তার
অগ্রজ শাহজালালকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম
শহরের বদর পাতির ব্যবসায়ী
আব্দুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে এ অঞ্চলের যুবকদের
শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে ১৯০৯ সালের
১২ বৈশাখ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আয়োজন করেন কুস্তির, যা
বলী খেলা নামে পরিচিত।
বাংলা
পঞ্জিকা অনুসারে ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম
নগরীর ঐতিহাসিক লালদিঘী মাঠে জব্বারের বলী
খেলা হয় প্রতিবছর।
খেলার
আগের দিন ও পরের
দিন মিলিয়ে মোট তিন দিন
হয় বৈশাখী মেলা।
বলী
খেলাকে ঘিরে এ বৈশাখী
মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন
চট্টগ্রামবাসী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা নানা
ধরনের মালামাল নিয়ে আসেন এ
মেলায়।
মাটির
তৈরি তৈজসপত্র, খেলনা, ফুলদানি, পুতুল, বেত-কাঠ ও
বাঁশের তৈরি আসবাব, হাতপাখা,
মাছ ধরার পলো, বেতের
তৈরি ডালা, কুলো, ফলদ ও বনজ
গাছের চারা, ফুল গাছের চারা,
মুড়ি মুড়কি, পাটি, মাদুর, চুড়ি, প্রসাধনী সামগ্রী, দা-বটি, ছুরিসহ
প্রায় সব পণ্যই পাওয়া
যায় এ মেলায়। মেলা
ঘিরে নিয়ে শিশুদেরও আনন্দের
কমতি থাকে না।