উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বোন নাজিয়ার পর ছোট ভাই নাফিও (০৯) চলে গেল না ফেরার দেশে। দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২ জনে।
জানা গেছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে নাফির বড় বোন নাজিয়া তাবাসসুম নিঝুম (১৩) মারা যায়। নিহত শিশু নাফি (৯) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার শাওন বিন রহমান জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নাফি (৯ বছর) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট, দুই শিক্ষিকা, ২৬ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া, বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, নিহতদের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।