রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেলের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দগ্ধদের চিকিৎসায় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের একটি বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। প্রচণ্ড শব্দ আর আগুনের গোলায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাস চলাকালীন দুর্ঘটনা ঘটায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর অন্তত ৩০-৩৫ জনকে বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসক বলেন, ‘বেশিরভাগ আহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে। কারও শ্বাসনালিতেও ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দ্রুত রেফার্ড করার ফলে জরুরি চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে।’
দুর্ঘটনার সময় কলেজে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ ও আগুনে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ে, কেউ শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে। কলেজ ভবনের সামনে জড়ো হয় দীর্ঘ ভীড়।