রবিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫
২৩ ভাদ্র ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : জাতীয়

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুমোদন

ইন্টারনেট নাগরিক অধিকার, অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ


স্টাফ রিপোর্টার
ইন্টারনেট নাগরিক অধিকার, অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ
ছবি:সংগৃহীত

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ নামে একটি আইন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অনেক দিন ধরে আলোচনা ও খসড়া পরিবর্তনের পর আজ মঙ্গলবার ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’–এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এতে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে।


ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য বা কনটেন্ট, যেটি সহিংসতা উসকে দিতে পারে, সেটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রস্তাবিত আইনে রাখা হয়েছে।


প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’–এর এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 


বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’–এর খসড়ার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে সাইবার জগতে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এই নয়টি ধারা ছিল কুখ্যাত ধারা। সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯৫ শতাংশ মামলাই এসব ধারায় হয়েছিল। এই মামলাগুলো এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এ ছাড়া ইতিপূর্বে বিভিন্ন ধারায় যেসব মামলা করা হয়েছিল, সেগুলোও বাতিল হয়ে যাবে।