ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী মানুষের রক্তকে সার্থক করতে হবে। ৫৪ বছর পর ইসলামকে রাষ্ট্র পরিচালনায় নেওয়ার যে সুযোগ এসেছে, তা কাজে লাগাতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে।’
ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার রেজাউল করীম এসব বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, তিনি কোথাও নির্বাচনে প্রার্থী হননি, ফলে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগও নেই। তবুও তার সব প্রচেষ্টার লক্ষ্য দেশকে উত্তরণের পথে নেওয়া। সমাবেশে তিনি বলেন, অতীতে যারা দেশের দায়িত্ব পেয়ে দুর্নীতিতে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, তারা আবারো ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে। জনগণ ‘নতুন শাড়িতে পুরোনো বউ’ দেখতে চায় না। তাই আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন অনিবার্য।
সমাবেশে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আফম খালেদ হোসাইন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, চরমোনাই পীর সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ইসলামী আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকার কারণেই তার উপদেষ্টা পরিষদে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। প্রত্যাশা বেশি হলেও তাকে সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। তিনি বলেন, ধর্মের ব্যাখ্যায় উলামাদের কথাই শেষ কথা, এবং দেশে কেউ ইসলাম অবমাননা করলে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে আইন হাতে না নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।