বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
১৯ ভাদ্র ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : জাতীয়

এজেন্সির প্রতারণায় সৌদিতে গিয়েও পাচ্ছেন না কাজ; হতে পারেন গ্রেফতার


খায়রুন নাহার ২৮ আগস্ট ২০২৫, সকাল ১১:৫৪
এজেন্সির প্রতারণায় সৌদিতে গিয়েও পাচ্ছেন না কাজ; হতে পারেন গ্রেফতার
ছবি:সংগৃহীত

তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব দেশটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য।বাংলাদেশ থেকে ২০২৪সালে ৬ লাখেরও বেশি শ্রমিক জীবিকার আশায় পারি দিয়েছে দেশটিতে এবং চলতি বছরেও মাসে প্রায় লাখ খানেক শ্রমিক এদেশ থেকে সৌদি আরব যাচ্ছে কর্মসংস্থানের জন্য।সব মিলিয়ে ২৬ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছে সৌদিতে। 

ভাগ্য বদলের আশায় অনেকেই বাপ দাদার জমি জমা ভিটে মাটি বিক্রি করে পারি জমান দেশটিতে।আর এ কাজে মধ্যস্থতা করে রিক্রুটিং এজেন্সি।রীতিমত বিজ্ঞাপণ দিয়ে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন প্রবাসীরা।ভোগান্তির শিকার হয়ে কেউ বাধ্য হয়ে দেশে ফেরত আসছেন আবার কেউবা জেল খেটে দেশে ফেরত আসছেন। প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে দেশে এসেও পড়তে হচ্ছে কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তায়।

ভুক্তভুগীদের অভিযোগ এজেন্সিগুলো মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভালো বেতনের চাকরির আশ্বাস দিলেও বাস্তবে সৌদি আরবের কাজের পরিবেশ একদম ভিন্ন । নির্ধারিত বেতন তো দূরের কথা, কাজই মিলছে না। একই সঙ্গে ইকামাও (সৌদিতে থাকার বৈধতা) মিলছে না। ফলে অবৈধ হয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে প্রবাসীদের। অনেকে অবৈধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়ে দেশে ফেরত আসছেন।

অবৈধ হওয়ার কারণে গত মঙ্গলবার সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসেন রাসেলসহ ১৯ জন বাংলাদেশি।

‘যাওয়ার পর থেকেই আমি অবৈধ। যে এজেন্সি দিয়া গেছি তারাও আর খোঁজ নেয় নাই। পালিয়ে আর কত কাজ করা যায়? শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই ধরা দেই পুলিশের কাছে। জেল খেটেছি ছয় মাস। এখন শূন্য হাতে বাড়ি ফিরলাম।’-বলছিলেন চাঁদপুরের রাসেল আহমেদ। গায়ে থাকা পোশাক আর একটি মোবাইল ছাড়া সঙ্গে কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি সৌদি আরব থেকে।

সৌদি থেকে ফেরত আসা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘গিয়ে কাজ পাবো না, অবৈধ থাকতে হবে এমন জানলে কখনোই যেতাম না। এলাকার এক দালালের হাত ধরে কাকলি নামে এক এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাই। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছিল আমাকে। সৌদি যাওয়ার পর আর তারা কল ধরেনি। কী করবো, এভাবে আমি তিন বছর ছিলাম। খরচ হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা।’


বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণ, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বিদেশফেরত অভিবাসীদের সহায়তা করে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। তাদের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে শুধু সৌদি আরব থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মীকে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশে ফেরত এসেছে আরও অন্তত ২৫ হাজার কর্মী।