রবিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫
২৩ ভাদ্র ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : জাতীয়

ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে দ্বিমত বিএনপির


স্টাফ রিপোর্টার ২০ এপ্রিল ২০২৫, রাত ১২:০০
 ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে দ্বিমত বিএনপির
ছবি:সংগৃহীত

সরকার প্রধান, দলের প্রধান ও সংসদ নেতা একই ব্যক্তি হওয়া উচিত নয়—এমন প্রস্তাবে বিএনপি একমত নয় বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা একটি উন্মুক্ত অবস্থান গ্রহণের পক্ষপাতী। তার মতে,এ ধরনের চর্চা পৃথিবীর বহু গণতান্ত্রিক দেশে দেখা যায়।যেমন যুক্তরাজ্যেও দলীয় প্রধানই সরকার প্রধান হয়ে থাকেন।

গণতন্ত্রের চর্চায় জনগণের রায়ই মুখ্য। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তাকেই ক্ষমতা দেওয়া উচিত—এটাই হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্র।

আজ সকাল ১১টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আরও জানান, কমিশনের সঙ্গে বৈঠক এখনও চলছে এবং কিছু বিষয়ে তারা ইতোমধ্যে একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বা বহুত্ববাদ স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত 'সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার' অন্তর্ভুক্ত করার। বিএনপি এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিএনপি সংবিধানে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট প্রাপ্তিকে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী।

একই সঙ্গে মৌলিক অধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বাস্তবায়নযোগ্যতা বিবেচনায় রাখতে হবে। সবকিছু সংবিধানে যুক্ত করে বাস্তবায়নের অক্ষমতা তৈরি না করে, এমন অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা বাস্তব জীবনে কার্যকর করা সম্ভব।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কিছু প্রস্তাবনায় তারা কাছাকাছি অবস্থানে এসেছেন, আবার কিছু বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে মত ও মতভেদের বিষয়টি খুব স্বাভাবিক এবং তারা কোনও একনায়কতান্ত্রিক চর্চা, যেমন ‘বাকশাল’, যেখানে ভিন্নমত গ্রহণযোগ্য নয়—সেই রকম কিছুর পক্ষে নয়। জনগণের স্বার্থে যেটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য, সেই পথেই দেশ এগিয়ে যাক—এটাই বিএনপির অবস্থান।