জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেছেন, বর্তমান কমিশন বলেছে তারা ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো একটা নির্বাচন উপহার দেবে। আমরা এটাই দেখতে চাই।
সংসদের নির্বাচন যেটা দিয়ে দেশ শাসন হবে ৫ বছরের জন্য, সেই নির্বাচনের আগে জনগণ এখন ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধি না থাকার কারণে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা দিন।
শুক্রবার ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর জামায়াতের আমির কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন,কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম, জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, মহানগর নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক রমজান আলী, নেত্রকোনা জেলা আমির অধ্যাপক সাদেক আহমেদ হারিছ, জামালপুর জেলা সেক্রটারি অ্যাডভোকেট আবদুল আওয়াল, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার প্রমুখ।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা দেখি আপনাদের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, তাহলে পরবর্তীতে জনগণ আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেবে। আর এখানে কোনো কিছু ধরা পড়ে জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে কোনো ধরনের সুপারিশ মানব না। আমরা জনগণের সুবিধা দেওয়ার সব সুপারিশ মেনে নেব।'
শফিকুর রহমান বলেন, অতীতে যা চলল এখনো যদি তাই চলে তাহলে এত রক্ত ঝরল কেন? এত জীবন গেল কেন? এ জাতির কাছে আমরা কীভাবে মুখ দেখাবো। জঞ্জালমুক্ত, কলুষমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনে আমরা আরেকবার জীবন দিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকব।
তিনি বলেন, এই দেশ থেকে আটাশ লাখ কোটি টাকা আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা লুট করে নিয়ে গেছে, যা দেশের বাজেটের প্রায় ৪-৫ গুণ। ওই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে অধিকারের ব্যবধান থাকবে না। সবার একই অধিকার ভোগ করার ন্যায্য ব্যবস্থা থাকবে। আমরা একটি বৈষম্য মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ চাই-যে দেশ অবশ্যই আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, রিপোর্টের কুরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম কথা হচ্ছে, যে কয়েকজন এই সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এদেশের সাড়ে নয় কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা সমাজকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে চান, আমরা সে জায়গায় তাদের নিতে দেব না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করব আপনি দেশে ফিরে এটা বাতিল করবেন।